Tag Archives: ইবাদত

আমাদের মসজিদের ইমাম ছাহেব রজব মাসের বিশেষ ছালাত-ছিয়ামসহ বিভিন্ন ইবাদতের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা পেশ করেছেন। এসব ইবাদত পালন করা যাবে কি?


রজব মাসের বিশেষ মর্যাদা বা বিশেষ কোন ইবাদত যেমন ছালাত-ছিয়াম ও যিকির-আযকারের ব্যাপারে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে, সবই যঈফ ও জাল। যেমন ‘যে ব্যক্তি রজব মাসে তিনটি ছিয়াম পালন করবে, তার জন্য আল্লাহ এক মাসের ছিয়াম লিখে দিবেন’। হাদীছটি জাল … Continue reading

Posted in রজব মাসের বিশেষ ছালাত-ছিয়ামসহ বিভিন্ন ইবাদত পালন করা যাবে কি? | Tagged , , , | Leave a comment

আমার পরিচিত জনৈকা মহিলার বাসায় প্রত্যেক জুম‘আর দিন ৭০ বছর বয়স্ক একজন মসজিদের ইমাম ছাহেব এসে কুরআনের আলোচনা পেশ করেন। এরূপ আলোচনা শরী‘আত সম্মত কি?


মহিলারা নিরাপদ পরিবেশে পর্দার মধ্যে থাকা অবস্থায় পুরুষের নিকট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। রাসূল (ছাঃ) মহিলাদেরকে দ্বীন শিক্ষা দিয়েছেন (বুখারী, মিশকাত হা/১৭৫৩)। তবে নারী একাকী থাকলে সাথে মাহরাম থাকা অথবা একাধিক মহিলা থাকা যরূরী। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, মাহরাম ব্যতীত … Continue reading

Posted in মহিলার বাসায় এসে ইমাম ছাহেব কুরআনের আলোচনা করতে পারেন কি? | Tagged , , | Leave a comment

‘আলেমের এক ঘন্টা ইলম চর্চা একজন আবেদের সত্তর বছর ইবাদতের সমান’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ?


উক্ত বর্ণনাটি জাল (দায়লামী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৯৭৮)। অনুরূপ ‘এক ঘণ্টা ইলম অন্বেষণ করা এক ঘণ্টা ইবাদত করার চেয়ে উত্তম’ এই বর্ণনাটিও যঈফ (দারেমী, মিশকাত হা/২৫৬)। তবে এ বিষয়ে ছহীহ হাদীছ হ’ল এই যে, ‘আবেদের উপরে আলেমের মর্যাদা নক্ষত্র সমূহের উপরে পূর্ণিমার চাঁদের … Continue reading

Posted in আলেমের এক ঘন্টা ইলম চর্চা একজন আবেদের সত্তর বছর ইবাদতের সমান কি? | Tagged , | Leave a comment

যারা বান্দার হক নষ্ট করে তাদের পরিণতি কি হবে? তাদের ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি ইবাদত কবুল হবে কি?


বান্দার হক বিনষ্টকারীগণ ক্বিয়ামতের দিন সর্বাধিক অসহায় ও নিঃস্ব হিসাবে গণ্য হবে। তাদের ছালাত, ছিয়াম, যাকাত, হজ্জ ও অন্যান্য ইবাদত কবুল হবে। তবে তার ইবাদতগুলোর ছওয়াব যেসব মানুষের অধিকার নষ্ট করেছে তাদেরকে দিয়ে দেওয়া হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি … Continue reading

Posted in বান্দার হক নষ্ট কারীর ছালাত ছিয়াম হজ্জ কবুল হবে কি?, বান্দার হক নষ্ট কারীর পরিণতি কি হবে? | Tagged , | Leave a comment

একটি বইয়ে দেখলাম যে, তাসবীহ, তাহলীল, তাকবীর বেশী বেশী পাঠ করলে নিফাক্ব হ’তে মুক্তি পাওয়া যায়, এটা নাসাঈতেও বর্ণিত আছে। এখন আমার প্রশ্ন হ’ল হাদীছটি কি ছহীহ? আর আমলগত মুনাফিকও কি স্থায়ীভাবে জাহান্নামী হবে?


প্রশ্নে বর্ণিত মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে নিঃসন্দেহে অধিকহারে যিকির করলে হৃদয় কলুষমুক্ত থাকে (তিরমিযী হা/৩৩৭৭, সনদ ছহীহ)। আর আমলগত নিফাক্বের কারণে কেউ স্থায়ীভাবে জাহান্নামী হবে না। কেবলমাত্র যারা আক্বীদাগত মুনাফিক্ব তারাই স্থায়ী এবং জাহান্নামের সর্বনিম্নস্তরে অবস্থান করবে। তাদের … Continue reading

Posted in তাসবীহ তাহলীল তাকবীর বেশী বেশী পাঠ করলে নিফাক্ব হ’তে মুক্তি পাওয়া যায় কি? | Tagged , | Leave a comment

যে ব্যক্তি চল্লিশ দিনকে কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট করবে তার কথায় জ্ঞানের ধারা প্রবাহিত হবে’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ?


বর্ণনাটি জাল ও মুনকার। এই বর্ণনা থেকেই তাবলীগ জামা‘আত চল্লিশ দিনের চিল্লার প্রবর্তন করেছে, যা ভিত্তিহীন ও বাতিল। আবু নু‘আইম তার হিলইয়াহ গ্রন্থে (৫/১৮৯), কাযাঈ মুসনাদে শিহাবে (হা/৪৬৬), ইহইয়াউ ঊলূমিদ্দীনসহ কিছু কিতাবে এটি বর্ণিত হয়েছে (কিতাবুল মাওযূ‘আত ৩/১৪৪; সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৮)।

Posted in চল্লিশ দিনকে কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট করা হাদীছটি কি ছহীহ? | Tagged | Leave a comment

কোন ইবাদতের ক্ষেত্রে বেশী ছওয়াব পাওয়ার জন্য কষ্টকর অবস্থাকে বেছে নেয়া কি ব্যক্তির জন্য শরীআ‘তসম্মত? যেমন- গরম পানি থাকা সত্ত্বেও ঠান্ডা পানি দিয়ে ওযূ করা কিংবা নিকটে মসজিদ থাকা সত্ত্বেও দূরের মসজিদে যাওয়া। কারণ আমি শুনেছি, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্টকর বিষয় খুঁজে বেড়ায় সে ছওয়াব পাবে না। সঠিক উত্তর জানতে চাই।


ইবাদত করার জন্য অধিকতর কষ্টকর অবস্থাকে ছওয়াব হাছিলের লক্ষ্য বানানো শরী‘আতসম্মত নয়। এতে কোন ছওয়াব নেই। কেননা কৃচ্ছ্রতা সাধন ইসলামী ইবাদতের ঈপ্সিত লক্ষ্য নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয় দ্বীন সহজ। যে ব্যক্তি দ্বীনকে কঠিন বানাবে, তার উপর দ্বীন বিজয়ী হয়ে … Continue reading

Posted in ইবাদতের ক্ষেত্রে বেশী ছওয়াব পাওয়ার জন্য কষ্টকর অবস্থাকে বেছে নেয়া যাবে কি? | Tagged | Leave a comment

আমাদের এখানে আলেমরা বলেন, কম জানো এবং বেশী আমল কর। কথাটা কি শরী‘আতসম্মত?


কথাটি শরী‘আতসম্মত নয়। বরং এটাই বলা উচিৎ যে, যতটুকু জানো ততটুকু আমল কর। বস্ত্তত দ্বীনের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করা ফরযে ‘আয়েন, যা সকল মুসলমানের জন্য আবশ্যিক (ইবনু মাজাহ হা/২২৪; মিশকাত হা/২১৮)। অর্থাৎ ইসলামের পাঁচটি বুনিয়াদী ফরয এবং তাওহীদ ও শিরক, সুন্নাত … Continue reading

Posted in কম জানো এবং বেশী আমল কর। কথাটা কি শরী‘আতসম্মত? | Tagged , | Leave a comment

জনৈক পীর ছাহেব বলেন, সূরা হূদের ২নং আয়াতে ‘ইল্লাল্লাহ’ শব্দটি রয়েছে। তাই আমরা ‘ইল্লাল্লাহ’ যিকির করি। একথার সত্যতা আছে কি?


উক্ত আয়াতের অর্থ : ‘তোমরা আল্লাহ ব্যতীত কারু ইবাদত করো না। নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য তাঁর পক্ষ হ’তে সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা’ (হূদ ১১/০২)। উক্ত আয়াতে ‘ইল্লাল্লাহ’ বলে যিকির করতে বলা হয়নি। বরং আল্লাহ ব্যতীত অন্যের ইবাদত করতে নিষেধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, … Continue reading

Posted in ইল্লাল্লাহ’ যিকির করার সত্যতা আছে কি? | Tagged , | Leave a comment

দেশের মধ্যে অন্য কোন স্থানে বা বিদেশে চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণের সংবাদ পেলে সূর্য গ্রহণের ছালাত আদায় করা যাবে কি?


যে দেখবে বা যে এলাকায় দেখা যাবে কেবল তারাই সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণের ছালাত আদায় করবে (নাসাঈ হা/১৪৮৩, ১৫০২; শায়েখ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৩২)।

Posted in বিদেশে সূর্যগ্রহণের সংবাদ পেলে সূর্য গ্রহণের ছালাত আদায় করা যাবে কি? | Tagged , | Leave a comment

শরী‘আত সম্পর্কে মূর্খ ও অজ্ঞ লোকদের আমল আল্লাহর নিকটে গ্রহণযোগ্য হয় কি?


ইবাদত কবুল হওয়ার মৌলিক শর্ত ৩টি : (১) আক্বীদা ছহীহ হওয়া (কাহফ ১১০) (২) তরীকা ছহীহ হওয়া (মুসলিম হা/১৭১৮)। (৩) আমল ইখলাছপূর্ণ হওয়া (যুমার ৩৯/১১)। এই শর্তগুলি পূরণ হ’লে আমল কবুল হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি সৎকর্ম করে, আমরা তার পুরষ্কার বিনষ্ট … Continue reading

Posted in মূর্খ ও অজ্ঞ লোকদের আমল আল্লাহর নিকটে গ্রহণযোগ্য হয় কি? | Tagged , , | Leave a comment

‘এক ঘন্টা আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করা ৭০ বছর ইবাদত করার চেয়ে উত্তম’ মর্মে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়েছে কি?


উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/১৭৩, ৩৯৭৮; যঈফুল জামে‘ হা/৩৯৮৮)। ইবনুল জাওযী (রহঃ) বলেন, এ হাদীছ ছহীহ নয় (আল মাওযূ‘আত ৩/১৪৪)। মোল্লা আলী কারী হানাফী বলেন, এটি কোন হাদীছ নয় (আল-মাছনূ‘ পৃ. ৮২)।

Posted in আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করা ৭০ বছর ইবাদত করার চেয়ে উত্তম কি? | Tagged , | Leave a comment

হে মানুষ! আল্লাহকে লজ্জা কর


عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- اسْتَحْيُوا مِنَ اللَّهِ حَقَّ الْحَيَاءِ. قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا لَنَسْتَحْيِى وَالْحَمْدُ لِلَّهِ. قَالَ : لَيْسَ ذَاكَ وَلَكِنَّ الاِسْتِحْيَاءَ مِنَ اللَّهِ حَقَّ الْحَيَاءِ أَنْ تَحْفَظَ الرَّأْسَ … Continue reading

Posted in হে মানুষ! আল্লাহকে লজ্জা কর | Tagged | Leave a comment

যারা কুরআনী নির্দেশ অনুযায়ী কুরআন ও হাদীছ না মেনে কোন ব্যক্তির ফৎওয়া অন্ধ অনুসরণ করে এবং তদনুযায়ী মানুষকে শিক্ষা দেয় তারা কি কুরআনী নির্দেশ অমান্যের কারণে জাহান্নামী হবে?


এরূপ অন্ধ অনুসরণকে তাক্বলীদে শাখছী বলা হয়।  অর্থাৎ ‘নবী ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির কোন শারঈ সিদ্ধান্তকে বিনা দলীলে মেনে নেওয়া। এর ফলে মানুষ অন্য একজন মানুষের অন্ধ অনুসারী হয়ে পড়ে। অনুসরণীয় ব্যক্তির ভুল-শুদ্ধ সব কিছুকেই সে সঠিক মনে করে। মানুষ … Continue reading

Posted in কুরআন ও হাদীছ না মেনে ব্যক্তির অন্ধ অনুসরণ করলে জাহান্নামী হবে? | Tagged | Leave a comment

আমি একজন ছাত্র। সুন্নাতী আমলসমূহ করতে চাওয়ায় পরিবার থেকে আমাকে পাগল বলে এবং বিভিন্ন বিদ‘আতী কাজে আমাকে বাধ্য করে এমনকি দাড়ি রাখার সুযোগ দেয় না। এক্ষণে আমার জন্য পরিবারের সাথে থাকা জায়েয হবে কি? না হলে আমার করণীয় কি?


পরিবারের সাথে থেকেই দাওয়াতী কাজ চালিয়ে যেতে হবে। পরিবারের সদস্যদের বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা সন্তানদের পিতা-মাতার সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তাদের শরী‘আতবিরোধী নির্দেশ মানা যাবে না (লোকমান ৩১/১৯)। বরং পূর্ণ আন্তরিকতা ও ধৈর্যের সাথে … Continue reading

Posted in সুন্নাতী আমলসমূহ করতে না দিলে পরিবারের সাথে থাকা জায়েয হবে কি? | Tagged | Leave a comment

স্বামী স্ত্রীকে জোরপূর্বক মাযহাবী তরীকায় ছালাত আদায়ে বাধ্য করে। এক্ষণে উক্ত স্ত্রীর জন্য করণীয় কি?


আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা সাধ্যমত আল্লাহকে ভয় কর’ (তাগাবুন ৬৪/১৬)। অতএব স্ত্রীকে ধৈর্যের সাথে সময় নিয়ে স্বীয় স্বামীকে বুঝাতে হবে এবং স্বামীর হেদায়াতের জন্য বেশী বেশী দো‘আ করতে হবে। কোন ভাবেই একত্রে থাকা সম্ভব না হলে স্ত্রী চাইলে খোলা-র মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন … Continue reading

Posted in স্বামী স্ত্রীকে মাযহাবী তরীকায় ছালাত আদায়ে বাধ্য করলে করণীয় কি? | Tagged , | Leave a comment

যারা বিশ্বাস করে যে, খিযির এখনো বেঁচে আছেন, তারা কোন পর্যায়ভুক্ত মুসলিম? তাদের পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে কি?


খিযির (আঃ) ‘আবে হায়াৎ’ পান করে আজও বেঁচে আছেন’ এবং উক্ত মর্মে আরও যেসব কথা প্রচলিত আছে তা ‘ইস্রাঈলিয়াত’ (الإسرائيليات)-এর অন্তর্ভুক্ত (দ্রঃ ফাৎহুল বারী ৮/২৬৮ পৃঃ, হা/৪৭২৬-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ; ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ১/৩৩৭)। এসব কাহিনী মানুষ অজ্ঞতাবশতঃ বিশ্বাস করে থাকে। আল্লাহপাক … Continue reading

Posted in খিযির বেঁচে আছেন বিশ্বাস করলে তারা কোন পর্যায়ভুক্ত মুসলিম? | Tagged , | Leave a comment

জনৈক আলেম বলেন, দুনিয়া অর্জন ও মানুষের কল্যাণবিহীন জ্ঞানার্জন করা হারাম। এক্ষণে আমার জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়া জায়েয হবে কি?


দ্বীনের মৌলিক বিশ্বাস, বিধি-বিধান, হালাল-হারাম ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা সকল মুসলিমের জন্য ফরয (ইবনু মাজাহ হা/২২৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৯১৩, ৩৯১৪)। দুনিয়ার জ্ঞান অর্জন যদি আখিরাতের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়, তাহ’লে সেটিও আল্লাহর ইবাদত হিসাবে গণ্য হবে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও … Continue reading

Posted in দুনিয়া অর্জন ও মানুষের কল্যাণবিহীন জ্ঞানার্জন করা হারাম কি? | Tagged | Leave a comment

জুম‘আর পূর্বক্ষণে ইমাম ছাহেবের কাছে দাঁড়িয়ে মসজিদের আম, কাঁঠাল, কদু ইত্যাদির নিলাম করা যাবে কি?


মসজিদের ভিতরে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন’ (আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৭৩২)। তিনি আরও বলেন, যখন তোমরা মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করতে দেখবে তখন বলবে, আল্লাহ যেন আপনার ব্যবসায় লাভ না দেন (তিরমিযী হা/১৩২১; দারেমী হা/১৪০১; মিশকাত হা/৭৩৩;)। … Continue reading

Posted in জুম‘আর পূর্বক্ষণে মসজিদের জিনিস নিলামে বিক্রি করা যাবে কি? | Tagged , | Leave a comment

খতমে ইউনুস নামে কোন আমল একাকী বা যৌথভাবে করা যাবে কি?


এরূপ কোন আমলের অস্তিত্ব শরী‘আতে নেই। সুতরাং এই দো‘আ ‘এতবার পাঠ করলে এই ফযীলত’-এরূপ আমলের কোন সুযোগ নেই। বরং বিপদের সময় এক বা একাধিকবার দো‘আ ইউনুস পাঠ করতে হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে কোন মুসলিম ব্যক্তি যে কোন সমস্যায় দো‘আটি … Continue reading

Posted in খতমে ইউনুস নামে কোন আমল একাকী বা যৌথভাবে করা যাবে কি? | Tagged , | Leave a comment

মসজিদের ছাদের উপর ধান, গম, কাপড় ইত্যাদি শুকানো জায়েয হবে কি?


মসজিদের ছাদের উপর ধান, গম, কাপড় ইত্যাদি শুকানো মসজিদের আদবের খেলাফ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, নিশ্চয় মসজিদ সমূহ হ’ল আল্লাহর ইবাদতের জন্য… (জিন ১৮)। অতএব মসজিদের ছাদকে এরূপ কাজে ব্যবহার না করাই উত্তম। তবে সাময়িক ও বাধ্যগত অবস্থার কথা আলাদা। মসজিদের … Continue reading

Posted in মসজিদের ছাদের উপর ধান, গম, কাপড় ইত্যাদি শুকানো হয়। এটা কি জায়েয? | Tagged , | Leave a comment

রাসূল (ছাঃ) উট বা ঘোড়ায় সওয়ার অবস্থায় নিয়মিতভাবে পবিত্র কুরআন খতম করতেন কি? এ ব্যাপারে তাঁর নিয়মিত কোন আমল ছিল কি?


নবী করীম (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এরূপ কোন নিয়মিত আমলের প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে একটি হাদীছে এসেছে, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূল (ছাঃ) উটনীর উপর থাকা অবস্থায় সূরা ফাৎহ বা তার কিছু অংশ ধীরকণ্ঠে বারবার পাঠ করেছিলেন (বুখারী হা/৪২৮১; … Continue reading

Posted in রাসূল (ছাঃ) উট সওয়ার অবস্থায় কুরআন খতম করতেন কি? | Tagged | Leave a comment

জনৈক ব্যক্তি জীবনে অনেক মানুষের টাকা বা অন্য কিছু চুরি করেছে। এখন সে অনুতপ্ত। কিন্তু এখন যদি সে যাদের জিনিস চুরি করেছে তাদের কাছে ক্ষমা চায়, তবে সমাজে বড় ফেৎনা দেখা দিবে। করা না করা অনেক চুরির অপবাদ তার উপর এসে পড়বে। এক্ষণে তার করণীয় কি?


এক্ষেত্রে করণীয় হ’ল, তাদের নিকটে ক্ষমা চাওয়া এবং সম্ভবপর চুরিকৃত জিনিস ফেরত দেওয়া। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি যদি তার কোন ভাইয়ের সম্মান বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুম করে থাকে, তাহ’লে সে যেন আজই তার সমাধা করে নেয়। সেদিন আসার … Continue reading

Posted in চুরি করার পর অনুতপ্ত হলে করণীয় কি? | Tagged | Leave a comment

মানুষের নেক আমলের ক্ষেত্রে বলা হয় যে শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। এটি কি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত? ছহীহ হ’লে সকল ফাঁসির আসামী কি জান্নাতবাসী হবে বলে আশা করা যায়?


এটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সর্বশেষ কর্মের উপর সকল আমল নির্ভরশীল’ (বুখারী হা/৬৪৯৩; মিশকাত হা/৮৩)। আর ফাঁসির আসামী হ’লেই যে তিনি জান্নাতী হবেন তা বলার কোন সুযোগ নেই। বান্দার মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর কৃত তওবা আল্লাহ কবুল … Continue reading

Posted in শেষ ভালো যার সব ভালো তার | Tagged | Leave a comment

জনৈক আলেম বলেন, সিজদা দু’প্রকার। সম্মানের সিজদা ও ইবাদতের সিজদা। মানুষ মানুষকে সম্মান দেখিয়ে সিজদা করতে পারে। যেমন ফেরেশতাগণ আদম (আঃ)-কে সিজদা করেছিলেন। এর কোন সত্যতা আছে কি?


কথাটি সম্পূর্ণ শরী‘আত বিরোধী। মুহাম্মাদী শরী‘আতে এটি সম্পূর্ণ হারাম করা হয়েছে। এভাবে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের প্রতি সিজদা করার দূরতম সম্ভাবনাকেও মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। একবার মু‘আয (রাঃ) খ্রিষ্টানদের দেখাদেখি রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি সম্মানের সিজদা করতে চাইলে তিনি বলেন, তোমরা এটা করো … Continue reading

Posted in সিজদা মানুষ মানুষকে সম্মান দেখিয়ে করতে পারে কি? | Tagged , | Comments Off on জনৈক আলেম বলেন, সিজদা দু’প্রকার। সম্মানের সিজদা ও ইবাদতের সিজদা। মানুষ মানুষকে সম্মান দেখিয়ে সিজদা করতে পারে। যেমন ফেরেশতাগণ আদম (আঃ)-কে সিজদা করেছিলেন। এর কোন সত্যতা আছে কি?

জামা‘আতবদ্ধ জীবন যাপন ইসলামে আবশ্যিক হ’লেও যথাযথ পরিবেশ না পেলে নারী হিসাবে আমার করণীয় কি?


সঠিক জামা‘আত খুঁজে নিয়ে নিজ থেকে তার আমীরের প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করা এবং তা মেনে চলাই মুমিন নারী-পুরুষের কর্তব্য। এজন্য অঞ্চল বা দেশ শর্ত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জামা‘আবদ্ধ জীবন হ’ল রহমত এবং বিচ্ছিন্ন জীবন হ’ল আযাব (আহমাদ, ছহীহাহ হা/৬৬৭; ছহীহুল … Continue reading

Posted in জামা‘আতবদ্ধ জীবন যাপন না পেলে নারী হিসাবে আমার করণীয় কি? | Tagged | Leave a comment

১৯৭১ সালে নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে মসজিদের ভিতরে পৃথক রংয়ের খুঁটি তৈরী করা এবং তাদের জন্য নিয়মিতভাবে সূরা ইয়াসীন পাঠ করা যাবে কি?


মসজিদে হৌক বা বাইরে হৌক এরূপ করা সম্পূর্ণরূপে শরী‘আত বিরোধী কাজ। আর মৃতের স্মরণে কুরআন পাঠ করার কোন বিধান শরী‘আতে নেই। সুতরাং এরূপ আমল সম্পূর্ণরূপে বিদ‘আতী প্রথা। যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০)। শায়খ বিন বায (রহঃ) বলেন, মৃত ব্যক্তির … Continue reading

Posted in মসজিদে পৃথক রংয়ের খুঁটি তৈরী করে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে সূরা ইয়াসীন পাঠ কর | Tagged , , | Leave a comment

ধর্মান্ধ কাকে বলে? ধর্মান্ধ ও প্রকৃত মুসলিমের মধ্যে পার্থক্য কি?


ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা ও ব্যবহার না জেনে নিজের স্বল্প জ্ঞানের উপর গোঁড়ামী করাকে ধর্মান্ধতা বলে। ‘ধর্মান্ধ’ শব্দটি প্রকৃত মুসলিমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কেননা ‘ইসলাম’ হ’ল মানবজাতির জন্য আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম (আলে ইমরান ৩/১৯)। আর ইসলামের প্রকৃত অনুসারী ব্যক্তিই হ’লেন … Continue reading

Posted in ধর্মান্ধ কাকে বলে? ধর্মান্ধ ও প্রকৃত মুসলিমের মধ্যে পার্থক্য কি? | Tagged | Leave a comment

কিছু আলেমের মুখে শোনা যায় যে, আল্লাহর যিক্র পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের চেয়েও উত্তম। তারা প্রমাণে কুরআনের আয়াতও পেশ করে থাকেন। তাদের বক্তব্য কি সঠিক?


যিকর অর্থ স্মরণ করা। আর আল্লাহকে স্মরণ করার শ্রেষ্ঠ অনুষ্ঠান হ’ল ছালাত আদায় করা। যেমন আল্লাহ বলেন, তুমি ছালাত কায়েম কর আমাকে স্মরণ করার জন্য’ (ত্বোয়াহা হা/২০/১৪)। ছালাতের বাইরে সর্বোত্তম যিকর হ’ল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। এছাড়াও সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবর … Continue reading

Posted in আল্লাহর যিক্র পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের চেয়েও উত্তম কি? | Tagged | Leave a comment

দলবদ্ধভাবে কোরাস গাওয়ার ন্যায় কুরআন পাঠ করা জায়েয হবে কি?


দলবদ্ধভাবে কোরাস গাওয়ার ন্যায় কুরআন তিলাওয়াত করা জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম এভাবে কুরআন তেলাওয়াত করেননি। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন যে, যে ব্যক্তি সুর দিয়ে কুরআন তেলাওয়াত করে না, সে আমার দলভুক্ত নয় (বুখারী হা/৭৫২৭, মিশকাত হা/২১৯৪)। এর অর্থ কোরাস … Continue reading

Posted in কুরআন দলবদ্ধভাবে কোরাস গাওয়ার ন্যায় পাঠ করা জায়েয হবে কি? | Tagged | Leave a comment

কা‘বা গৃহের দিকে দৃষ্টিপাত করা কি ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত? ছহীহ হাদীছের আলোকে জানতে চাই।


এটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। এ মর্মে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে সবই যঈফ। যেমন আয়েশা (রাঃ) হ’তে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণিত, কা‘বাগৃহের দিকে তাকিয়ে থাকা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত (দায়লামী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৭০১)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, পাঁচটি জিনিসের দিকে তাকিয়ে থাকা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। … Continue reading

Posted in কা‘বা গৃহের দিকে দৃষ্টিপাত করা কি ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত? | Tagged | Leave a comment

নিফাসের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ সীমা কতদিন? ৪০ দিনের পূর্বে রক্ত বন্ধ হয়ে গেলেও ইবাদতের জন্য ৪০ দিন অপেক্ষা করতে হবে কি?


নিফাসের নিম্ন সময়ের কোন মেয়াদ নেই। যখনই পবিত্র হবে, তখনই ছালাত ও ছিয়াম শুরু করবে (তিরমিযী হা/১৩৯)। তবে এর ঊর্ধ্ব সময়সীমা হ’ল ৪০ দিন। উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন, নিফাসগ্রস্ত মহিলাগণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে ৪০ দিন অপেক্ষা করতেন’(আবুদাঊদ হা/৩১১; তিরমিযী হা/১৩৯; … Continue reading

Posted in নিফাসের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ সীমা কতদিন? | Tagged | Leave a comment

আল্লাহ সবকিছু জানেন ও দেখেন। এছাড়া পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাযার বছর পূর্বেই তিনি ভাগ্য এমনকি জান্নাতী না জাহান্নামী তা নির্ধারণ করে রেখেছেন। এক্ষণে বান্দার কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের জন্য কিরামান কাতেবীন নিয়োগ করার পিছনে কি তাৎপর্য আছে?


বান্দাকে পুরস্কার বা শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রমাণ উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে এটা করা হয়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কি ভেবেছ জান্নাতে প্রবেশ করবে, অথচ আল্লাহ এখনো জেনে নেননি কারা তোমাদের মধ্যে জিহাদ করেছে এবং কারা তোমাদের মধ্যে ধৈর্যশীল’? (আলে ইমরান ৩/১৪২)। যাতে বান্দা … Continue reading

Posted in আল্লাহ কিরামান কাতেবীন নিয়োগ করার পিছনে কি তাৎপর্য? | Tagged , | Leave a comment

জনৈক আলেম বলেন, আমাদেরকে কেবল কুরআন অনুসরণ করতে হবে। হাদীছ অনুসরণের প্রয়োজন নেই। ছালাতের নফল-সুন্নাত বলে কিছু নেই। কেবল ফরয আদায় করাই যথেষ্ট। এ ব্যাপারে দলীলভিত্তিক জবাবদানে বাধিত করবেন।


(ক) হাদীছের ব্যাপারে এরূপ বক্তব্য স্পষ্ট কুফরী। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রাসূলের। যদি তারা এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহ’লে (তারা জেনে রাখুক যে,) আল্লাহ কখনোই কাফেরদের ভালবাসেন না’ (আলে ইমরান ৩/৩২)। তিনি বলেন, ‘তোমার প্রতিপালকের শপথ! … Continue reading

Posted in হাদীছ অনুসরণের প্রয়োজন নেই কি? | Tagged | Leave a comment

পৃথিবীতে কি এমন কোন দ্বীপ থাকতে পারে, যেখানে এ পর্যন্ত ইসলামের দাওয়াত পৌঁছেনি? যদি থাকে, তাহ’লে সেখানকার লোকজন অমুসলিম অবস্থায় মারা গেলে। মৃত্যুর পর তাদের ব্যাপারে ফায়ছালা কি হবে?


ভূপৃষ্ঠে এমন কোন স্থান থাকবে না যেখানে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছবে না (আহমাদ হা/২৩৮৬৫, মিশকাত হা/৪২)। এরপরও কারু নিকটে যদি ইসলামের দাওয়াত না পৌঁছে, তবে আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন তাদের আনুগত্যের পরীক্ষা নিবেন। এতেই তারা জান্নাতী বা জাহান্নামী হবে। রাসূল (ছাঃ) … Continue reading

Posted in ইসলামের দাওয়াত যে স্থানে পৌঁছেনি সেখানকার লোকজনের ফায়ছালা কি হবে? | Tagged , | Leave a comment