Tag Archives: সূদ

এধরনের প্রণোদনা গ্রহণ করায় কোন দোষ নেই। কারণ ব্যাংক এটি সূদ হিসাবে দিচ্ছে না। বরং হুন্ডি বা অনিয়মিত লেনদেন বন্ধ করার জন্য এবং সরকারী নিয়ম অনুসরণে উৎসাহ দেওয়ার জন্য পুরস্কার হিসাবে প্রদান করছে। সেজন্য এমন হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয হবে … Continue reading →

ভোগ করা বৈধ নয়। কারণ এতে সূদী কারবারে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ ৫/২)। শায়খ বিন বায বলেন, আয়াত এবং হাদীছসমূহ প্রমাণ করে … Continue reading →

বর্তমানে দেশের কোন ব্যাংকই শতভাগ সূদমুক্ত নয়। তাই এরূপ না করে বরং সূদমুক্ত একাউন্ট খুলে তাতে টাকা জমা করতে হবে। কারণ সূদী কর্মকান্ডে সাহায্য করার মাধ্যমে উদ্দিষ্ট নেকীর বদলে গুনাহ অর্জিত হবে। আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে … Continue reading →

নির্ধারিত মেয়াদ ভিত্তিক কিস্তিতে পণ্যমূল্য পরিশোধ করা জায়েয। যদি সেখানে নগদে এক মূল্য এবং বাকীতে অধিক মূল্য না হয়। বাকীতে অধিক মূল্য নিলে সেটি সূদ হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এক ব্যবসায়ে নগদে এক বিক্রি ও বাকীতে আরেক বিক্রি নিষেধ করেছেন। আর … Continue reading →

কুরআনে সূদখোরকে চিরস্থায়ী জাহান্নামী ঘোষণা করা হয়েছে (বাক্বারাহ ২/২৭৫)। তবে বিষয়টি ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। কারণ শিরককারী ব্যতীত অন্য কোন কবীরা গুনাহগার ব্যক্তি চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না, যা কুরআন ও হাদীছের অসংখ্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত। সেকারণ বিদ্বানগণ ‘চিরস্থায়ী’ পরিভাষাকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন। (১)  কুরআন  … Continue reading →

যাবে। কেননা এখানে লিজ গ্রহীতা মালিক নয়। আর আল্লাহ বলেন, ‘একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না’ (নাজম ৫৩/৫৫; আন‘আম ৬/১৬৪)।

যাবে। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)। ইহূদী-নাছারারা সূদী লেন-দেনে জড়িত ছিল জেনেও রাসূল (ছাঃ) তাদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন এবং তাদের তৈরী খাবার খেয়েছেন (মুমতাহিনা ৬০/৮; বুখারী হা/১৪৮১, ৩১৬৯; মিশকাত হা/৫৯৩৫)। ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-কে এবিষয়ে প্রশ্ন … Continue reading →

এক্ষেত্রে চাকুরী পরিত্যাগ করে খালেছ নিয়তে তওবা করতে হবে এবং পরবর্তীতে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থ নেকীর আশা ব্যতীত দান করে দিতে হবে। কারণ যে সূদী অর্থ থেকে বাঁচার জন্য উক্ত চাকুরী ছাড়া হচ্ছে, তা থেকে প্রাপ্য সকল অর্থই তার অন্তর্ভুক্ত। তবে … Continue reading →

সরকারী সঞ্চয়পত্র থেকে প্রাপ্ত লাভ সম্পূর্ণরূপে সূদের অন্তর্ভুক্ত, যা গ্রহণ করা হারাম। উল্লেখ্য, এক লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করলে ৫ বছরে নির্দিষ্টভাবে ৫৪,৭২০ টাকা লভ্যাংশ পাওয়া যায়। যা স্পষ্টভাবে সূদের অন্তর্ভুক্ত। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, … Continue reading →

সরকার কর্তৃক এরূপ সূদ গ্রহণ যুলুমের নামান্তর। এরপরেও তা পরিশোধ না করা সঠিক হয়নি। কারণ যালেম সরকারের ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ)-এর স্পষ্ট নির্দেশ- ‘তাদের হক তাদের দাও এবং তোমাদের হক আল্লাহর কাছে চাও’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৭২)। এক্ষেত্রে সরকার গোনাহগার হবে, জনগণ … Continue reading →

এরূপ কারবার শরী‘আত সম্মত নয়। এটি সুস্পষ্ট সূদ যা ইসলামে হারাম। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন ও সূদকে হারাম করেছেন (বাক্বারাহ ২/২৭৫)। অতএব সম্ভব হ’লে সূদ মুক্ত ঋণ দ্বারা ব্যবসা করতে হবে। নইলে ছেড়ে দিতে হবে।

পেনশন গ্রহণ করাই উচিত হবে। কারণ পেনশন চাকুরীর চুক্তির অন্তর্ভুক্ত অবসরকালীন ভাতা। যা সূদ নয়। কিন্তু তা উত্তোলন করে নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ প্রদানের শর্তে কোন সূদভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রেখে অর্থ গ্রহণ করা স্পষ্ট সূদ।

না। কেননা সূদ সর্বাবস্থায় হারাম (বাক্বারাহ ২/২৭৫)। ইবনু কুদামাহ বলেন, সূদ যেমন মুসলিম রাষ্ট্রে হারাম তেমনি অমুসলিম রাষ্ট্রেও হারাম। একথাই বলেছেন ইমাম মালেক, শাফেঈ, আওযাঈ, ইসহাক ও আবু ইউসুফ (রহঃ)’ (আল-মুগনী, মাসআলা নং ২৮৪২ ‘দারুল হারবে সূদ’ অনুচ্ছেদ ৪/৩২)। তবে ইমাম আবু … Continue reading →

উক্ত অনুদান গ্রহণ করা যাবে। কারণ সরকার গঠিত হয় জনকল্যাণের জন্য। এটি ব্যাংকের ন্যায় কেবল সূদী  লেনদেনের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় না। এক্ষণে যদি সরকারী তহবিলে কোন হারাম উপার্জন থেকে থাকে, তবে তার জন্য সরকার দায়ী হবে, জনগণ নয়। আল্লাহ বলেন, … Continue reading →

জানার সাথে সাথে ঋণদাতাকে ডেকে সূদ গ্রহণের ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে অবহিত করতে হবে এবং তাকে তা গ্রহণ না করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। অতঃপর করযে হাসানার নেকী সম্পর্কে বুঝাতে হবে। এভাবে সূদ ব্যতীত মূল টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে … Continue reading →

সূদের উপর টাকা নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করা জায়েয নয়। আল্লাহ তা‘আলা সূদখোরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন (বাক্বারাহ ২/২৭৮-৭৯) এবং সূদগ্রহীতা ও সূদদাতা উভয়কে লা‘নত বা অভিসম্পাত করেছেন (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩৭৫৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘সূদের দ্বারা সম্পদ যতই বৃদ্ধি পাক না কেন তার … Continue reading →

কোন বাধা নেই। বরং সেই টাকা তুলে জনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যয় করাই উত্তম হবে। কারণ ব্যাংকে সে অর্থ রেখে দিলে তাতে আরও সূদ জমা হবে এবং তা আরও অধিক অন্যায় কাজে ব্যয়িত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ক্রমিক ১৫২৫৯, … Continue reading →

কর মওকূফের সুযোগ লাভের উদ্দেশ্যে এভাবে সূদী কাজে সহযোগিতা করা জায়েয হবে না (মায়েদাহ ৫/২)। কেননা সূদের পাপ অত্যন্ত ভয়াবহ (বাক্বারাহ ২/২৭৮-৭৯;  মুসলিম হা/১৫৯৮, মিশকাত হা/২৮০৭)।

মূল সম্পদ রেখে দিয়ে সূদের মাধ্যমে অর্জিত ও জমাকৃত সম্পদ সাধ্যমত হিসাব করে পৃথক করতে হবে এবং নেকীর প্রত্যাশা ব্যতীত তা জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করে দিতে হবে (ছহীহ ইবনে হিববান হা/৩৩৫৬, ছহীহুত তারগীব হা/৮৮০)। অনিচ্ছাকৃত কমবেশীতে দোষ নেই। কারণ আল্লাহ কাউকে … Continue reading →

এ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ বাধ্যগত অবস্থায় ব্যাংকে টাকা রাখার কারণে প্রাপ্ত সূদ থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যেই প্রাপ্ত লভ্যাংশ সমাজকল্যাণ খাতে ব্যয় করার অনুমতি রয়েছে। যার মাধ্যমে নেকী অর্জনের কোন সুযোগ নেই। এক্ষণে ইচ্ছাকৃতভাবে সমাজকল্যাণে ব্যয় করার লক্ষ্যে … Continue reading →