Tag Archives: জমি

জমির মালিকের কোন আপত্তি না থাকলে ছালাত জায়েয হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘সমগ্র যমীনকে আমাদের জন্য মসজিদ এবং মাটিকে পবিত্র করা হয়েছে, যখন পানি না পাওয়া যায়’ (মুসলিম হা/৫২২; মিশকাত হা/৫২৬)। তবে মসজিদের নামে স্থানটি ওয়াকফ করা যরূরী (বুখারী হা/২৭৭৪; মুসলিম হা/৫২৪)।

সরকারের বাধা না থাকলে উক্ত ভূমি চাষাবাদ করে তার ফসল ভোগ করা জায়েয। কারণ এধরনের জমি হাদীছে ঘোষিত মৃত জমির মত। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোন অনাবাদী জমি আবাদ করবে সেটি তার (আবূদাঊদ হা/৩০৭৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৯৭৫)। অন্য বর্ণনায় … Continue reading →

জমি ভাড়া নিয়ে যেকোন ফল বা ফসল আবাদ করা যায়। কারণ জমি ভাড়া নেওয়া হয় চাষ করার জন্য। সুতরাং লীজগ্রহীতা যেকোন ফসল বা ফলদ বৃক্ষ রোপন করে উপকৃত হ’তে পারে। ইবনু তায়মিয়াহ, ইবনুল ক্বাইয়িম, ইবনু আক্বীল, উছায়মীনসহ একদল বিদ্বান কয়েক … Continue reading →

ওয়াক্বফের নিয়ম হ’ল, যে উদ্দেশ্যে ওয়াক্বফ করা হয়েছে, কেবল সেজন্যই তা ব্যবহৃত হ’তে হবে। তবে ইবনু তায়মিয়া সহ কতিপয় বিদ্বানের মতে, অধিকতর কল্যাণের উদ্দেশ্যে হ’লে ওয়াক্বফকারীর প্রদত্ত শর্ত পরিবর্তন করা যায়। অতএব উক্ত জমির কিছু অংশে মসজিদ নির্মাণ জনগণের জন্য … Continue reading →

উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। পিতা হৌক বা মাতা হৌক তাদের সম্পত্তিতে ছেলেরা মেয়েদের দ্বিগুণ হারে পাবে। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ তোমাদের সন্তানদের (মধ্যে মীরাছ বণ্টনের) ব্যাপারে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান (নিসা ৪/১১)। অত্র আয়াতে পিতা-মাতা … Continue reading →

এমতাবস্থায় দেখতে হবে যে, বর্গা কি শর্তে দেয়া হয়েছে। যদি মুযারাবা (একজনের অর্থ, অপরজনের শ্রম) পদ্ধতিতে হয়, তবে কেবল বিনিয়োগকারী বা জমির মালিক ক্ষতির অংশীদার হবে। আর মুশারাকা (উভয়ের অর্থ ও পরিশ্রম) পদ্ধতিতে হ’লে বিনিয়োগকারী ও চাষী উভয়ই লোকসান বহন … Continue reading →

উক্ত বিহারীর উত্তরাধিকারী খুঁজে পাওয়া গেলে তাদের নিকট জমি হস্তান্তর করতে হবে। আর কোনভাবে খোঁজ পাওয়া না গেলে বিহারীর নামে নিজের অভাবগ্রস্ত সন্তানকে দান করতে পারে। এতে বিহারী ছওয়াব পাবেন এবং দানকারীও ছওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ (মুসলিম হা/১০০৪; নববী, শরহ মুসলিম ১১/৮৪; … Continue reading →

এটি জায়েয হবে না। কারণ এতে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হবে। যদিও এটি রাষ্ট্রীয় যুলুম এবং এর জন্য সরকার আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সত্ত্বর আমার পরে তোমাদের উপর যালেম শাসকদের আগমন ঘটবে এবং এমন কিছু কাজসমূহ দেখবে, যা … Continue reading →

সরকার কর্তৃক বর্তমানে অত্যধিক হারে গৃহীত জমি রেজিস্ট্রি ফী নিঃসন্দেহে জনগণের উপর যুলুম। তবুও তা ফাঁকি দেয়ার জন্য প্রশ্নে উল্লেখিত কৌশল কিংবা কোন অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করা উচিৎ হবে না। কেননা যালেম শাসকদের অধীনে বসবাসরত নাগরিকদের করণীয় সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) … Continue reading →

যাবে। কেননা এখানে লিজ গ্রহীতা মালিক নয়। আর আল্লাহ বলেন, ‘একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না’ (নাজম ৫৩/৫৫; আন‘আম ৬/১৬৪)।

শর্ত সাপেক্ষে ওয়াক্ফ করা জায়েয, যদি তা বৈধ ও ন্যায়সঙ্গত হয় (বুখারী হা/২৭৩৭; মিশকাত হা/৩০০৮, ইবনু কুদামাহ আল-মুগনী ৬/৮)। কিন্তু প্রশ্নমতে মসজিদ, মাদরাসা, ঈদগাহ, কবরস্থান প্রভৃতি জনস্বার্থে প্রতিষ্ঠিত স্থানের জন্য ওয়াক্ফ করা জমিতে ব্যক্তিগত স্বার্থসূচক কোন শর্তারোপ করা যাবে না। কেননা … Continue reading →

এ ব্যাপারে শরী‘আতের স্পষ্ট নির্দেশনা আছে। যৌথ মালিকানা বা প্রতিবেশী হওয়ার কারণে জমি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অংশীদারের কাছে কিংবা প্রতিবেশীর কাছে বিক্রয় করতে হবে। একে শরী‘আতের পরিভাষায় শুফ‘আ বলে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, জমি অথবা (খেজুর) বাগানে যদি কারু … Continue reading →

প্রতারণা না থাকলে বা অন্যের হক বিনষ্ট করার উদ্দেশ্য না থাকলে জায়েয হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুসলিমগণ তাদের পরস্পরের শর্তানুযায়ী কাজ করবে যদি তা হালাল হয় (হাকেম হা/২৩১০; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৭১৫)। ইমাম বুখারী (রহঃ) ‘দালালের মজুরী’ শিরোনামে অধ্যায় রচনা করে বলেন,  … Continue reading →

অতিরিক্ত জমি ভোগ করা জায়েয হবে না। কারণ সেগুলোর মালিক বিক্রেতা। এক্ষণে বিষয়টি জমির মালিককে অভিহিত করে অতিরিক্ত অংশ তাকে বা তার উত্তরাধিকারীদের ফেরত দিতে হবে। এছাড়া বিষয়টি প্রশাসন বিভাগের ভুলেও হ’তে পারে। সেক্ষেত্রে সেখান থেকে তা সমাধান করার চেষ্টা … Continue reading →

যাবে না। কারণ জমির সাথে ফলদার বৃক্ষ রয়েছে, যা মূল লক্ষ্য। জাবের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) কয়েক বছরের জন্য জমি বিক্রি ও কয়েক বছরের জন্যে ফল বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম হা/১৫৩৬; মিশকাত হা/২৮৪১; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৯৩২)। এছাড়া … Continue reading →