Tag Archives: ঝাড়-ফুঁক তাবিজ

একটি হাদীছে অসুখের জন্য সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা নাস, ফালাক্ব, বাক্বারা, আলে-ইমরান, হাশর, মুমিনূন, জীন প্রভৃতি সূরার কিছু কিছু আয়াত পড়ার কথা এসেছে। উক্ত আয়াতসমূহ দ্বারা কোন অমুসলিমকে ঝাড়-ফুঁক করা যাবে কি?


প্রথমতঃ উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ইবনু মাজাহ হা/৩৫৪৯, আহমাদ হা/২১২১২)। তবে পবিত্র কুরআনের যেকোন অংশ পড়ে ফুঁক দেওয়া যাবে। কেননা কুরআনকে আল্লাহ ‘শিফা’ বা ‘আরোগ্য’ বলেছেন (বনু ইসরাঈল ১৭/৮২)। দ্বিতীয়তঃ আল্লাহর কালাম দ্বারা অমুসলিমকে ঝাড়-ফুঁক করায় কোন বাধা নেই (বুখারী  হা/৫৭৩৬)।

Posted in ঝাড়-ফুঁক আয়াতসমূহ দ্বারা কোন অমুসলিমকে করা যাবে কি? | Tagged , | Leave a comment

গাভীকে মানুষ ঝাড়-ফুঁক করে দুধ বন্ধ করে দেয়। তখন দুধ হয় না। এথেকে বাঁচার জন্য পাল্টা ঝাড়-ফুঁক করা দড়ি পরালে ভালো হয়ে যায়। এক্ষণে এটা পরানো যাবে কি?


: দড়ি, তাবীয-কবয ইত্যাদি পরানো যাবে না (তিরমিযী হা/২০৭২; মিশকাত হা/৪৫৫৬; ছহীহুত তারগীব হা/৩৪৫৬)। রাসূল (ছাঃ) পশুর গলায় রশির মালা বা এজাতীয় কিছু থাকলে তা কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন (বুখারী হা/৩০০৫; মুসলিম হা/২১১৫)। বরং এক্ষেত্রে কুরআন ও হাদীছে বর্ণিত দো‘আগুলো পাঠ করার মাধ্যমে … Continue reading

Posted in গাভীকে দড়ি তাবীয-কবয ইত্যাদি পরানো যাবে কি? | Tagged | Leave a comment

পুত্র সন্তান লাভের জন্য কোন ঝাড়-ফুঁক বা তেল পড়া, পানি পড়া খাওয়া যাবে কি?


সন্তান দানের মালিক আল্লাহ। অতএব পুত্র সন্তান লাভের জন্য কোনরূপ ঝাড়-ফুঁক বা তদবীর করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়েয। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন অথবা যাকে ইচ্ছা পুত্র ও কন্যা যমজ সন্তান দান … Continue reading

Posted in পুত্র সন্তান লাভের জন্য কোন ঝাড়-ফুঁক বা তেল পড়া পানি পড়া খাওয়া যাবে কি? | Tagged , | Leave a comment

জিনের আছর হলে কবিরাজের ঝাড়ফুঁক বা তাবীয নাজায়েয হলেও এর দ্বারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে জিনের আছর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অন্য দিকে এর আশ্রয় না নিলে চরম বিপদে পড়তে হয়। এক্ষেত্রে করণীয় কি?


কুরআন-হাদীছ দ্বারা যারা ঝাড়-ফুঁক করে তাদের চিকিৎসা নেওয়া যাবে (বুখারী হা/৫৭৩৬, ‘চিকিৎসা’ অধ্যায়)। এছাড়া আরো কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। যেমন (১) আঊযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বা-নির রজীম’ পাঠ করা (আ‘রাফ ৭/২০০, বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৪১৮)। (২) নাস ও ফালাক সূরাদ্বয় পাঠ … Continue reading

Posted in জিনের আছর হলে তাবীয এর আশ্রয় না নিলে চরম বিপদে পড়তে হয়, করণীয় কি?, তাবীয থাকায় রাসূল (ছাঃ) একজ‌নের বায়‘আত গ্রহণ করেননি কি?, তাবীয ব্যবহার করা যাবে কি? | Tagged , | Leave a comment

পীরের মাযারে গিয়ে মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়। যেমন রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভ, সম্পদ অর্জন ইত্যাদি। এগুলি কিভাবে কার পক্ষ থেকে হয়?


পীরের মাযারে গিয়ে মানুষ যে উপকার লাভের ধারণা করে, তা মূলতঃ শয়তানী ওয়াসওয়াসায় হয়ে থাকে। যেমনভাবে জাহেলী যুগে মানুষ যেসব প্রতিমার উপাসনা করত সেগুলির মধ্যে নারী জিন শয়তান থাকত (আহমাদ হা/২১২৬৯, সনদ হাসান)। যারা মানুষকে এরূপ শিরকের ওয়াসওয়াসা দিয়ে মূর্তিপূজায় … Continue reading

Posted in পীরের মাযারে গিয়ে মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়... | Tagged , , , | Leave a comment

অধিকাংশ মা ছোট ছেলেমেয়েদের কপালের এক পার্শ্বে কাজলের ফোটা দেয়। এর কোন উদ্দেশ্য আছে কি?


ছোট ছেলে মেয়েদের কপালে কোন এক পার্শ্বে কাজলের বা অন্য কোন জিনিষের  ফোটা দেয়ার কারণ সাধারণত দু’টো হতে পারে। (ক) বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুকরণ যা মুসলমানের জন্য পরিত্যাজ্য (আহমাদ, আবূদাঊদ হা/৪৩৪৭)। (খ) কোন বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে এরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ … Continue reading

Posted in সন্তা‌নের কপা‌লে কাজ‌লের ফোটা দেওয়া হারাম | Tagged , | Leave a comment

কোন ব্যক্তিকে জিনে ধরলে তাকে কবিরাজের মাধ্যমে গলায় তাবীয দিয়ে জিন ছাড়ানো হয়। তাবীযটি সর্বদা না বাঁধা থাকলে পুনরায় জিন আছর করে। এরূপ তাবীয ব্যবহার কি শরী‘আত সম্মত? যদি না হয়, তবে করণীয় কি?


তাবীয কোন ঔষুধ নয়, বরং আক্বীদাগত কারণে তাবীয ব্যবহার করা শিরক। কখনও কখনও শিরকী কর্ম করার দ্বারা মানুষের ধারণা মতে সাময়িক উপকার হতে পারে। কিন্তু তা স্থায়ীভাবে ক্ষতি করে। তাবীয থাকার কারণে রাসূল (ছাঃ) এক ছাহাবীর বায়‘আত নেননি। সে তা … Continue reading

Posted in তাবীয থাকায় রাসূল (ছাঃ) একজ‌নের বায়‘আত গ্রহণ করেননি কি?, তাবীয ব্যবহার করা যাবে কি? | Tagged , | Leave a comment

জৈনক ব্যাক্তি ব‌লেন ‘কবিরাজগণ জিনদের মাধ্যমে যেসব কথাবার্তা বলে থাকেন তা বিশ্বাস করা যাবে’। কিন্তু হাদীছে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোন গণকের নিকট আসল এবং তার কথার প্রতি বিশ্বাস করল সে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তাকে অস্বীকার করল (আহমাদ ২/৪২৯ পৃঃ)। অন্য হাদীছে রয়েছে, ৪০ দিন তার ছালাত কবুল হবে না (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫৯৫)। উক্ত বিষয়ে সমাধান:


সূরা জিনের ১৪নং আয়াতের মাধ্যমে জানা যায় জিনদের মধ্যে মুমিন জিনও আছে। তাদের মাধ্যমে কবিরাজগণ কুরআন ও ছহীহ হাদীছ সম্মত যেসব কথা বলে থাকেন তা বিশ্বাস করা যায়। কারণ এটা গণকের কাল্পনিক ভাগ্য নির্ণয়ের অন্তর্ভুক্ত নয়। গণক তারাই যারা মানুষের … Continue reading

Posted in কবিরাজগণ জিনদের মাধ্যমে যেসব কথাবার্তা বলে থাকেন তা বিশ্বাস করা যাবে কি?, গণকের কথা বিশ্বাস করা যাবে কি? | Tagged , , | Leave a comment

আমাদের আশেপাশে অনেক পীর-ফকীর আছে, যারা মানুষকে ঝাড়-ফুঁক করে থাকে এবং তাতে অনেক মানুষই আরোগ্য লাভ করে। ফলে মানুষ তাদের ক্ষমতার উপর আস্থা রাখে। যদি তাদের কোন ক্ষমতা না থাকে তাহলে কিভাবে আরোগ্য লাভ করছে? এদের থেকে মানুষকে বাঁচানোর পথ কি?


শয়তান মানুষকে শয়তানী কাজে সহযোগিতা করে। আল্লাহ বলেন, কতক জিন এবং মানুষ এমন আছে যারা একে অন্যকে মনোমুগ্ধকর ও চাকচিক্যময় কথা দ্বারা প্ররোচিত করে থাকে। যেন তারা ধোঁকায় পতিত হয়। তোমার প্রতিপালকের ইচ্ছা হলে তারা এমন কাজ করতে পারত না। … Continue reading

Posted in পীর ধরা কি জায়েয? মানুষ কেন পীর ধরে? পীর ধ।রার ইতিহাস, পীর-ফকীরের ঝাড়-ফুঁক যদি সত্যই না হবে তাহলে রোগ আরোগ্য হয় কেনো? | Tagged , , | Leave a comment

জিনের আছরগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য শরী‘আত সম্মত চিকিৎসা কী?


জিনের আছর থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন (১) আঊযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বা-নির রজীম’ পাঠ করা (আ‘রাফ ৭/২০০, বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৪১৮)। (২) নাস ও ফালাক সুরাদ্বয় পাঠ করা (তিরমিযী হা/২০৫৮)। (৩) আয়াতুল কুরসী পাঠ করা (বুখারী … Continue reading

Posted in জিনের আছরগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য শরী‘আত সম্মত চিকিৎসা কী? | Tagged , | Leave a comment