Tag Archives: ছাহাবী

উক্ত ঘটনা জীবনীকারগণ বর্ণনা করেছেন (হাফেয ইবনু হাজার, আল-ইছাবাহ ৮/২০২; ইবনু আব্দিল বার্র, আল-ইস্তী‘আব ৪/১৮৬৯)। কিন্তু কেউ সনদ উল্লেখ করেননি। ইবনুল আরাবীসহ অনেক বিদ্বান বর্ণনাটিকে বাতিল বলেছেন (ইবনুল ‘আরাবী, আহকামুল কুরআন ৩/৪৮২; তাফসীরে কুরতুবী ১৩/১৮৩)। তাছাড়া উক্ত বর্ণনায় বলা হয়েছে,وربما ولّاها شيئا … Continue reading →

যিনি রাসূল (ছাঃ)-কে দেখেছেন, তাঁর প্রতি ঈমান এনেছেন এবং ঈমানের হালতে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনিই ছাহাবী। সে অনুযায়ী ওয়াহশী বিন হারব হাবাশী একজন ছাহাবী ছিলেন (আল-ইছাবাহ ৬/৪৭০)। তিনি মুত্বঈম বা তু‘মা বিন ‘আদীর ক্রীতদাস ছিলেন। তিনি দাসত্ব থেকে মুক্ত হওয়ার শর্তে ওহোদের … Continue reading →

অহী লেখক ছাহাবীগণের মধ্যে আব্দুল্লাহ বিন সা‘দ বিন আবী সারাহ নামে একজন ছাহাবী মুরতাদ হয়েছিলেন। তিনি ওছমান (রাঃ)-এর দুধ ভাই ছিলেন। মক্কা বিজয়ের দিন রাসূল (ছাঃ) তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে ওছমান (রাঃ) তাঁর জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করলে রাসূল (ছাঃ) … Continue reading →

উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং কুরআনের সকল সূরা ও আয়াত সমূহ ‘মুতাওয়াতির’। এবিষয়ে কোন ছাহাবীর কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই। ইবনে মাসঊদ (রাঃ) সম্পর্কে যে কথা বলা হয়েছে সে বিষয়ে বিদ্বানগণের বক্তব্য এই যে, তিনি এ সূরা দু’টিকে প্রথমে কুরআনের অংশ হিসাবে … Continue reading →

এখানে প্রশ্নকারীর বুঝতে ভুল হয়েছে। হাদীছটি বর্ণনা করেছেন প্রখ্যাত তাবেঈ সাঈদ ইবনু মুসাইয়িব (১৫-৯৪ হি.)। এখানে তিনি বলেন যে, প্রথম ফিৎনা অর্থাৎ ৩৫ হিজরীতে ওছমান হত্যাকান্ডের পর বদরী ছাহাবীদের আর কেউ বেঁচে ছিলেন না। দ্বিতীয় ফিৎনা অর্থাৎ ৬৩ হিজরীতে হার্রার … Continue reading →

উক্ত মর্মের বর্ণনাটি জাল। যা শী‘আ রাফেযীরা আলী (রাঃ)-এর প্রতি অতিভক্তির আতিশয্যে তৈরী করেছে (সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৯২১)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, কতিপয় মহামিথ্যুক বর্ণনা করেছে যে, আলী (রাঃ) ছালাতরত অবস্থায় হাতের আংটি দান করলে সূরা মায়েদাহ ৫৫ আয়াতটি নাযিল হয় (মাজমূ‘ ফাতাওয়া … Continue reading →

ঘটনাটি বানোয়াট কাহিনী মাত্র। শী‘আদের বইসমূহে কাহিনীটি সনদবিহীনভাবে বর্ণিত হয়েছে (মুহাম্মাদ ছালেহ আল-হুসাইনী, আল-মানাক্বিবুল মুরতাযাবিইয়াহ পৃ. ৩৬৪)। যা অগ্রহণযোগ্য।

দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ছাহাবীদের সংখ্যা অনেক। তন্মধ্যে ১- ১০ জন ‘আশারায়ে মুবাশশারাহ’ নামে খ্যাত। তাঁরা হ’লেন, (১) আবুবকর ছিদ্দীক (২) ওমর (৩) ওছমান (৪) আলী (৫) ত্বালহা (৬) যুবায়ের (৭) আব্দুর রহমান বিন ‘আওফ (৮) সা‘দ বিন আবু ওয়াকক্বাছ … Continue reading →

৩৬ হিজরীতে সংঘটিত উষ্ট্রের যুদ্ধের ন্যায় ৩৭ হিজরীর ছিফফীন যুদ্ধেরও মূল কারণ ছিল ওছমান (রাঃ)-এর হত্যাকারী বিদ্রোহীদের গভীর ষড়যন্ত্র। ৩৫ হিজরীর যিলহাজ্জ মাসে ওছমান (রাঃ) শাহাদত বরণ করলে লোকেরা আলী (রাঃ)-এর হাতে বায়‘আত গ্রহণ করে। বিদ্রোহীরাও আলী (রাঃ)-এর হাতে বায়‘আত … Continue reading →

ঘটনাটি হ’ল- আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) স্বীয় খেলাফতকালে (ইরানের দক্ষিণ হামদান এলাকার নাহাওয়ান্দে) ‘সারিয়াহ’ নামক জনৈক সেনাপতির অধীনে একদল সৈন্য পাঠিয়েছিলেন। যুদ্ধের এক পর্যায়ে তারা পরাজয়ের সম্মুখীন হয়। তখন ওমর (রাঃ) মদীনার … Continue reading →

উক্ত মর্মের বর্ণনাগুলি দুর্বল। (ক) রাসূল (ছাঃ) একবার তাঁর হাজামতের রক্ত গোপন স্থানে ফেলার জন্য আব্দুল্লাহ বিন যুবায়েরকে আদেশ করলে তিনি তা বাইরে নিয়ে গিয়ে নিজেই পান করেন। জানতে পেরে রাসূল (ছাঃ) তাকে বলেন, কে তোমাকে রক্তপানের নির্দেশ দিল? মানুষের … Continue reading →

ওছমান (রাঃ) উত্তম চরিত্রের অধিকারী এবং অতি লজ্জাশীল ব্যক্তি ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে আমার উম্মতের প্রতি সর্বাপেক্ষা দয়ার্দ্র ব্যক্তি হ’ল আবুবকর, আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে সর্বাপেক্ষা কঠোর হ’ল ওমর এবং সর্বাধিক ও যথার্থ লজ্জাশীল হ’ল ওছমান’ (তিরমিযী হা/৩৭৯০; মিশকাত হা/৬১১১)। … Continue reading →