প্রতিপালনের উদ্দেশ্যে কুকুর, বিড়াল, পাখি বা অন্যান্য প্রাণীর ব্যবসা করা বৈধ কি?


পশু চরানো, শিকার করা এবং ক্ষেত-খামার ও বাড়ি-ঘর পাহারা দেওয়া এই তিন উদ্দেশ্যে কেবল কুকুর পালন করা যাবে। এতদ্ব্যতীত শুধু প্রতিপালনের উদ্দেশ্যে বা শখের বশে কুকুর পোষা যাবে না কেননা অন্য উদ্দেশ্যে কোন কুকুর বাড়িতে রাখলে এক ক্বীরাত তথা ওহোদ পাহাড় সমপরিমাণ নেকী কমে যাবে (মুসলিম হা/১৫৭৫, মিশকাত হা/৪০৯৯, ইবনু হাজার ৩/১৯৪-১৯৫)। অন্য বর্ণনায় রাসূল (ছাঃ) প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যতীত অন্য সকল কুকুরকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন (মুসলিম হা/১৫৭১, মিশকাত হা/৪১০১)। দ্বিতীয়তঃ চোখের উপর সাদা চিহ্ন ওয়ালা কুচকুচে কালো কুকুর কোন অবস্থাতেই গ্রহণ করা যাবে না। কারণ এগুলো শয়তান, যাদেরকে হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে (মুসলিম হা/১৫৭২, মিশকাত হা/৪১০০)

আর পাখি, বিড়াল বা অন্যান্য প্রাণী প্রতিপালন করা যেতে পারে। তবে তাদের সময়মত খেতে ও পান করতে দিতে হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৩/৩৮-৪০; বিন বায, ফাতাওয়া ওলামায়িল বালাদিল হারাম ১৭৯৩ পৃ:)। আনাস বিন মালেক (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) আমাদের প্রতি উৎফুল্ল মেযাজ ও সম্প্রীতি প্রদর্শন করতেন। এমনকি আমার ছোট ভাইকেও জিজ্ঞেস করতেন, হে আবু উমায়ের! তোমার ‘নুগায়ের’ অর্থাৎ ছোট্ট বুলবুলিটি কোথায়? উমায়ের-এর একটি ছোট্ট বুলবুলী পাখি ছিল। সেটা নিয়ে সে খেলা করত। পাখিটি মারা গিয়েছিল (তাকে সান্ত্বনা দিয়ে রাসূল (ছাঃ) উক্ত কথা বলেন) (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৮৮৪)। উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় হাফেয ইবনু হাজার বলেন, পাখি প্রতিপালন করা জায়েয হওয়ার দলীল এই হাদীছ থেকেই গ্রহণ করা হয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) আবু উমায়েরের উক্ত কাজকে অস্বীকৃতি দেননি (ফাৎহুল বারী ১০/৫৪৮)। অনুরূপভাবে ছাহাবী আবু হুরায়রা (রাঃ) বিড়াল প্রতিপালনের জন্য রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক ‘বিড়ালের পিতা’ উপাধি পেয়েছিলেন (বুখারী হা/২৫৩০-৩১)। ‘হুরায়রা’ অর্থ ছোট বিড়াল। সুতরাং কুকুর ব্যতীত অন্যান্য প্রাণী প্রতিপালন করা ও ব্যবসা করা বৈধ।

This entry was posted in কুকুর বিড়াল পাখি বা অন্যান্য প্রাণীর ব্যবসা করা বৈধ কি? and tagged , , . Bookmark the permalink.